স্টাফ রিপোর্টার
রংপুর, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় অ্যানথ্রাক্স-সদৃশ উপসর্গে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ রোগে ইতিমধ্যেই দুই শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা দিয়েছে, ফলে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন—পীরগাছা সদর ইউনিয়নের আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), পেশায় কৃষক ও রিকশা-ভ্যানচালক, এবং পারুল ইউনিয়নের কমলা বেগম (৪৮), তিনি একজন গৃহিণী। উভয়ের শরীরে ত্বকের কালো ঘা, জ্বর ও ব্যথাজনিত উপসর্গ দেখা দেয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটে।
কীভাবে ছড়াচ্ছে
স্থানীয়দের দাবি, সম্প্রতি কয়েকটি গরু অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সেগুলোর সংস্পর্শে আসা লোকজনের শরীরে উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যানথ্রাক্স মূলত Bacillus anthracis নামক ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে। এটি সাধারণত আক্রান্ত গবাদি পশুর মাংস বা দেহাবশেষ থেকে মানুষের শরীরে ছড়ায়।
- Advertisement -
উপসর্গ
চিকিৎসকদের ভাষ্যমতে, অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ সংক্রমণের ধরণ অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে—
- ত্বকে ফুসকুড়ি, কালো ঘা (cutaneous anthrax)
- পেট ব্যথা, বমি, রক্তমিশ্রিত ডায়রিয়া (gastrointestinal anthrax)
- শ্বাসকষ্ট, কাশি ও উচ্চ জ্বর (inhalation anthrax)
সময়ে চিকিৎসা পেলে অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে এই রোগ নিরাময় সম্ভব।
সরকারি পদক্ষেপ
স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং আক্রান্তদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে এখনো পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা যায়নি যে মৃত্যুগুলো অ্যানথ্রাক্সেই হয়েছে কি না। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, পরীক্ষার ফল হাতে না আসা পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে না।
আতঙ্ক ও সতর্কতা
এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে গবাদি পশুর মাংস খাওয়ায় বিরত রয়েছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জনগণকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি অসুস্থ গবাদি পশুর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।